“ আপনি মু’মিন নারীদেরকে বলে দিন যাতে তারা তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের গোপন অংগসমূহ হিফাজত করে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে অতটুকু ছাড়া যতটুকু না আপনা আপনি বের হয়ে যায় এবং শক্ত করে তাদের ‘খুমুর’[1] দিয়ে তাদের ‘জুয়ূব’ [2] অর্থ্যাৎ গলা, বুক, পিঠ ইত্যাদি ঢেকে দেয় এবং তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের স্বামীদের নিকট ছাড়া।”
[২৪ আন-নূরঃ৩১]
[1] ‘খিমার এর বহু বচন। আর খিমার হল যা দিয়ে মাথা ঢাকা হয়।
[2] জুয়ূব হল জাঈব এর বহুবচন। জাঈব বলতে কামিজের যে ফাঁকা কাটা অংশ দিয়ে মাথা ঢোকানো হয়, তাকে বোঝায়। অর্থ্যাৎ মাথা ঢাকার ওড়না দিয়ে গলা, বুক, পিঠ, কাঁধ, মাথা সব ঢেকে ফেলতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ
“হে নাবী আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে এবং আপনার মেয়েদেরকে এবং মু’মিন নারীদেরকে বলে দিন যাতে তারা তাদের থেকে তাদের ‘জালাবী’[1] টেনে নেয়, এতে করে তাদের চেনা সহজ হবে (তারা সম্ভ্রান্ত কিনা), ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।”
[৩৩ আল-আহযাবঃ৫৯]
[1] ‘জালাবী’ হল ‘জিলবাব’ এর বহুবচন।‘জিলবাব’ বলতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রশস্ত এক পোশাক কে বোঝায় যা দ্বারা পরিহিত বস্ত্রকে ঢেকে দেয়া হয়। কারণ পরিহিত বস্ত্র (কামিজ, শাড়ি, স্কার্ট টপস ইত্যাদি) কে ‘যিনাত’ (সৌন্দর্য) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ
“ হে বানী ‘আদম তোমরা ‘ইবাদাত সমূহে ‘যিনাত’ (সৌন্দর্য) গ্রহণ কর।”
[৭ আল- ‘আরাফঃ৩১]
এবং নারীদেরকে ‘যিনাত’ (সৌন্দর্য) প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে যার মাঝে পরিহিত বস্ত্র একটি।আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ
“ তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে অতটুকু ছাড়া যতটুকু না আপনা আপনি বের হয়ে যায়।”
[২৪ আন-নূরঃ৩১]
এ থেকে বোঝা গেল অলংকার, প্রসাধন সামগ্রী, পরিহিত বস্ত্র এসবই ‘যিনাত’ (সৌন্দর্য) এর অন্তর্ভুক্ত যা ‘জিলবাব’ দ্বারা ঢেকে দিতে হয়। এর সারমর্ম হল স্বতন্ত্রভাবে ‘জিলবাব’ যে পড়তে হবে তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই তবে ‘জিলবাব’ কিভাবে পড়তে হবে এবং এর দ্বারা মুখ, হাতের তালু এগুলো ঢেকে যাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
বর্তমানে যারা মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রশস্ত পোশাক অর্থ্যাৎ ‘জিলবাব’ দিয়ে পরিহিত বস্ত্র ইত্যাদি ঢেকে দেন না তাদেরকে এমন কিছু করতে হবে যা এই ‘জিলবাব’ এর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। যেমন পা পর্যন্ত লম্বা আবায়া (বোরখা বা ওভারকোট বা আপ্রোন)পড়তে হবে। কারণ খিমার (মাথার ওড়না) এবং ‘জিলবাব’ পড়ার ব্যাপারে কোন মতানৈক্য নেই।
Conclusion: Arabic Quran is the
Quran, we should not make rulings by our own just by reading the translation.
There are certain principles of tafseer.
No comments:
Post a Comment