দিনা চুপচাপ ওদের বাড়িওয়ালী আন্টির বকা শুনলো।স্মিত হেসে চুপ করে থাকলো, আর কথা বাড়ালো না দিনা।
দিনার চুপ থাকাকে বিজয়ের চিহ্ন ধরে সোৎসাহে ঊনি বলতে লাগলেন.........মেডিটেশন করে অবশ্যই অলৌকিক ক্ষমতা লাভ করা যায়, তা না হলে ওরা চিনে না জানে না এমন মানুষের বর্ণনা কিভাবে দেয়? হুহ! ফালতু কথা বলো খালি...
আন্টি, এটার ব্যাখ্যা খুব সহজ। এটা করা হয় জ্বিনদের সাহায্যে। আমাদের প্রত্যেকের সাথেই একজন ক্বারীন বা জ্বিন থাকে, আর জ্বিনরা অত্যন্ত দ্রুত বেগে চলাচল করতে পারে, আমাদের জগতটা, আর ওদের জগততো পুরা আলাদা। ধরেন আপনি মেডিটেশন করতে বসেছেন, কিছুক্ষণ আপনার সামনে একজন মানুষের রুপ ধরে এসে ওই লোকের বর্ণনা দিতে শুরু করবে, আপনিও হুবহু বলতে থাকবেন। ব্যাপারটার মেকানিজম হচ্ছে এসব যারা করে, তাদের সাথে জ্বীনদের সরাসরি যোগাযোগ থাকে, যেটা কী না ইসলামের দৃষ্টিতে পুরা কুফর। ওদেরকে জ্বীনরা সাহায্য করে নানাভাবে। যে লোকের বর্ণনা দেয়া প্রয়োজন, সেটার ক্বারীন এসে সব তথ্য আরেক জ্বীনকে দেয়, সে মানুষের রুপ ধরে এসে বলতে থাকে, বা ওই লোকের ক্বারীনই তাঁর রুপ ধরে আসে, সিম্পল!
শুনে কিছুক্ষণ থ হয়ে থাকলেন আন্টি। কী বলো তুমি এগুলা? এসব গাঁজাখুরি কথা তুমি কোথা থেকে শুনেছো?
এগুলা কুরআন হাদীস থেকে অর্জিত জ্ঞান আন্টি, আপনি চাইলে আমি আপনাকে বই দিতে পারি, The world of jinn and devils.........আপনি নিজে পড়ে দেখতে পারেন, করবেন সেটা?
হঠাৎ কেমন যেন নরম হয়ে গেল আন্টির কন্ঠটা......করবো মা। দিও তুমি আমাকে।
একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল দিনা। মেডিটেশনের সাথে জড়িত বিষয়গুলাতে শিরক এত সূক্ষ্মভাবে জড়িত যে আক্বীদার গভীর জ্ঞান না থাকলে বোঝা আসলে দুষ্কর। ইসলাম নিয়ে স্ট্রাকচারডভাবে না পড়লে জীবনেও এই অন্তর্দৃষ্টি জন্মাতো না দিনার। অথচ এই জ্ঞানগুলো কত ব্যাসিক!
No comments:
Post a Comment