৩য় পর্বের লিংক
উত্তরে উস্তাদ বলেন যে please do not mind! I am so sorry that they
compelled you. I never told them to do so ;) Hence pls forgive me for their great
mistake!!
চিন্তা করুনতো এই কথাটা
শুনলে বক্তার কেমন লাগবে?পছন্দ না করে পারবে মানুষটাকে?
একসাথে কাজ করার সময়
সতর্কতাঃ
২য় দিন চলে যাবার আগে
তিনি নিজ ইচ্ছায় আবারও এসে ভলান্টিয়ারদের ২টা বিশেষ উপদেশ দিয়ে গেলেন-
১) মুসলিমরা যখন একসাথে
কাজ করে, তখন শয়তানের সেটা গাত্রদাহের কারণ হয়। সে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে এদের
মাঝে ভাঙ্গন ধরানোর। তাই ঊনি শয়তানের ব্যাপারে বিশেষ সাবধান হতে বললেন, বললেন কারো
কোনো ব্যাপারে যদি আমাদের reservation থাকে, তবে আমরা যেন হাসিমুখে গিয়ে সেটা তাকে বলে মিটিয়ে
ফেলি ব্যাপারটা। মনের মাঝে না রেখে দেই। কারণ ছোট ছোট কষ্ট বা ভালো না লাগাগুলোই
একসময় বিশাল মহীরুহের আকার ধারণ করে বিভেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই একে অংকুরেই
বিনষ্ট করা দরকার।
২) আমরা যেন হালাল
হারামের ব্যাপারে যতটা সম্ভব আমাদের জিহ্বা সংযত করে চলি। কারণ এ ব্যাপারে কথা
বলার জন্য অনেক গভীরতম জ্ঞানের দরকার হয় যা আমাদের নেই।
কুরআনের সাথে সম্পর্ক?
কিভাবে করব এটাঃ
এই প্রসঙ্গে ঊনি যে টিপসটা দিলেন সেটা সম্ভবত আমার
জীবনে পাওয়া মিলিয়ন ডলার টিপসের একটি।
ঊনি বললেন প্রতিদিন
৫-১০ মিনিট হলেও কুরআন পড়তে এবং প্রতিটা আয়াতকে একটা দুআতে convert করতে। ঊনি উদাহরণ দিলেন-
ধরেন আমরা যদি সূরা
বাক্বারা পড়া শুরু করি, যখন পড়ব-
·
আলিফ লাম
মীম---------দুআ করতে পারি যে আল্লাহ তুমি জানো, আমি জানি না।তোমার জ্ঞানের
ভাণ্ডার থেকে যেটুকু আমার জন্য উপকারী তা আমাকে দাও (কারণ এটা মুতাশাব্বিহাত এর
একটি, কুরআনের যে আয়াতগুলার অর্থ শুধু আল্লাহই জানেন)
·
এই সেই কিতাব যাতে কোনো
সন্দেহ নেই------আল্লাহ এই কিতাবের ব্যাপারে কখনও যেন সন্দেহ আমার হৃদয়ে প্রবেশ
করতে না পারে!
·
এটা মুত্তাক্বীদের জন্য
পথ প্রদর্শক----আল্লাহ তুমি আমাকে মুত্তাক্বীদের অন্তর্ভুক্ত কর।
ঊনি যখন এগুলা বলছিলেন,
আমার দুরন্ত মন তখন চিন্তা করছিল কুরআনের সব আয়াতকে কি দুআতে পরিণত করা সম্ভব? যখন
কোনো একটা ঘটনা বর্ণিত হয়েছে? এমন আয়াত যদি পড়ি?
আমার মনের কথা টের
পেয়েই ঊনি বুঝি বললেন যে মুসা আলাহিওয়াসাল্লাম এর ঘটনাটা যদি আমি পড়তে থাকি,
যেখানে ঊনি মিশরীয়কে এমন চড় দিয়েছিলেন যে বেচারা মারাই গিয়েছিল, তবে নিশ্চয়ই আমার
দুআ এটা হবেনা যে আল্লাহ আমার থাপ্পড়ে কেউ যেন কখনও মারা না যায় :D বরং আমার দুআ
হবে-
·
আল্লাহ আমি যেন কখনও
কারো ব্যাপারে দ্রুত কোনো উপসংহারে না পৌঁছাই।
·
আল্লাহ আমি যেন কোনো
ভুল করলে সাথে সাথে সেটা টের পাই ও তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে পারি, যেমনটা মুসা
আলাহিওয়াসাল্লাম করেছিলেন। আমি যেন সৎ উদ্দেশ্যেও
কাউকে কখনও আহত না করি......
কী চমৎকার, তাই না?
কুরআনের আয়াত থেকে দুআ derive করতেও কতটা প্রজ্ঞা লাগে সেটা ঊনি এই উদাহরণ না দিলে আমি
বুঝতাম না কখনই।
যাই হোক, এই ছিল
মোটামুটি আবার অভিজ্ঞতা কথন।
পরিশেষে একটা কথা
সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই----------জীবনের প্রতিটা নিয়ামত আদতে কিন্তু পরীক্ষা।
তাই আমার এই অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনে আবার হিংসা করা শুরু কইরে দিয়েন না প্লীজ :P
আমি হিংসাকে অনেক ভয় পাই। ইউসুফ আলাইহিওয়াসাল্লাম এর ভাইরা নবীর ছেলে হয়েও কি
কীর্তিটাই না করসিল।
আল্লাহ আমাকে যেন এই
প্রোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানগুলো আমলে পরিণত করার তৌফিক দেন। এই অভিজ্ঞতা যেন
কিয়ামতের দিন আমার বিপক্ষে না হয়ে আমার পক্ষে সাক্ষী হয়। আমীন
No comments:
Post a Comment