আমাদের হুজুরনির কি খবর?
মামার আচমকা এই সম্বোধনে ভিতরে ভিতরে একটু থতমত খেয়ে গেলেও মুখে সেটার প্রকাশ ঘটালোনা জ্যোতি। নির্লিপ্ত মুখে বলল এইতো মামা আছি আলহামদুলিল্লাহ।
মামাঃ তুই নাকি পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছিস শুনলাম? এইসব সুদী কারবারের পড়াশোনা আর করবিনা বলিস?
জ্যোতিঃ প্রথম প্রথম লাগত অমন। এখন তো এটা শেষ করে ইসলামিক ফিন্যান্স পড়ব ভাবছি।
মামাঃ বাহ! ভালো দিকেই যাচ্ছিস। ধর্মের নামে ব্যবসা আর কী! এই ইসলামীব্যাংকগুলা সব ভুয়া বুঝলি! মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলে। আল্লাহর তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই এতগুলা মানুষের সবার হিসাব নিবে। ফিলোসফিতে মাস্টার্স আমার, তোদের এসব তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে অনেক পড়ছি আমি! বহু প্রশ্ন আসত মাথায়, কেউ উত্তর দিতে পারত না.........তারপর থেকে বুঝে গেছি এসব প্রশ্নের উত্তর হয় না আসলে।বিশ্বাসটাই চলে গেছে মন থেকে।
জ্যোতিঃ যেমন?কি প্রশ্ন?
মামাঃ বাহ! তোর তো ভালই সাহস হইছে দেখি! আবার জানতে চাচ্ছিস কী প্রশ্ন! এই মনে কর সব কিছু যখন আল্লাহ বানাইছে তাইলে আল্লাহকে বানাইল কে? এরকম আরো বহু প্রশ্ন কিলবিল করত মাথায়!
জ্যোতির মামা একজন স্বঘোষিত সংশয়বাদী।খুব ভালো ছবি আঁকেন, বাসা ভর্তি ঊনার চিত্রকর্ম দিয়ে ভরা। IOU তে এধরণের পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিতে হবে খুব সুন্দরমত শিখানো হয়েছে ওদের। তাই একদম প্রসংগ এড়িয়ে গিয়ে চেহারাটা বেকুবের মত করে ও মামাকে জিগ্যেস করল মামা এই ছবিগুলো কে আঁকছে?
মামাঃ হা হা ! প্রশ্ন শুনে মাথা আউলায় গেলো, তাই না? এখন প্রলাপ বকতেছিস! এসব ছবি কে আঁকছে মানে আবার কীরে? আমি আঁকছি!
জ্যোতিঃ ও তা মামা তোমাকে আঁকছে কে?
মামাঃ মানে? আমাকে আঁকছে কে এটা কেমন বেকুবের মত প্রশ্ন? আমি কি ছবি নাকি যে আমাকে কেউ আঁকবে?
জ্যোতিঃexactly মামা! স্রষ্টা আর সৃষ্টির প্রকৃতি কখনো এক হয় না। তাই আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এই প্রশ্ন অবান্তর। এই প্রশ্ন আমাদের মনে ঢুকায় শয়তান। যেভাবে বাসা ভর্তি মানুষের ছবি এঁকে টাঙ্গায় রাখসো, তাতে তোমার বাসায় রহমতের ফেরেশতাতো ঢোকে না, ঢোকে শয়তান, বুঝলা?
মামাকে হতভম্ব করে দিয়ে ওখান থেকে উঠে গেল জ্যোতি। আর মনে মনে ভাবল বাসায় গিয়ে দু রাকআত শোকরানা নামায পড়তে হবে IOU তে পড়ার সুযোগ পাবার জন্য। এক বছর আগেও এ বাসার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে মন চাইত না ওর এসব উত্যক্তমূলক কথার ঠেলায়। এখন আর কোনো ফ্যামিলি প্রোগ্রামই মিস করে না ও। কি করছে, কেন করছে, খুব ভালো আইডিয়া আছে ওর!
মামার আচমকা এই সম্বোধনে ভিতরে ভিতরে একটু থতমত খেয়ে গেলেও মুখে সেটার প্রকাশ ঘটালোনা জ্যোতি। নির্লিপ্ত মুখে বলল এইতো মামা আছি আলহামদুলিল্লাহ।
মামাঃ তুই নাকি পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছিস শুনলাম? এইসব সুদী কারবারের পড়াশোনা আর করবিনা বলিস?
জ্যোতিঃ প্রথম প্রথম লাগত অমন। এখন তো এটা শেষ করে ইসলামিক ফিন্যান্স পড়ব ভাবছি।
মামাঃ বাহ! ভালো দিকেই যাচ্ছিস। ধর্মের নামে ব্যবসা আর কী! এই ইসলামীব্যাংকগুলা সব ভুয়া বুঝলি! মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলে। আল্লাহর তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই এতগুলা মানুষের সবার হিসাব নিবে। ফিলোসফিতে মাস্টার্স আমার, তোদের এসব তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে অনেক পড়ছি আমি! বহু প্রশ্ন আসত মাথায়, কেউ উত্তর দিতে পারত না.........তারপর থেকে বুঝে গেছি এসব প্রশ্নের উত্তর হয় না আসলে।বিশ্বাসটাই চলে গেছে মন থেকে।
জ্যোতিঃ যেমন?কি প্রশ্ন?
মামাঃ বাহ! তোর তো ভালই সাহস হইছে দেখি! আবার জানতে চাচ্ছিস কী প্রশ্ন! এই মনে কর সব কিছু যখন আল্লাহ বানাইছে তাইলে আল্লাহকে বানাইল কে? এরকম আরো বহু প্রশ্ন কিলবিল করত মাথায়!
জ্যোতির মামা একজন স্বঘোষিত সংশয়বাদী।খুব ভালো ছবি আঁকেন, বাসা ভর্তি ঊনার চিত্রকর্ম দিয়ে ভরা। IOU তে এধরণের পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিতে হবে খুব সুন্দরমত শিখানো হয়েছে ওদের। তাই একদম প্রসংগ এড়িয়ে গিয়ে চেহারাটা বেকুবের মত করে ও মামাকে জিগ্যেস করল মামা এই ছবিগুলো কে আঁকছে?
মামাঃ হা হা ! প্রশ্ন শুনে মাথা আউলায় গেলো, তাই না? এখন প্রলাপ বকতেছিস! এসব ছবি কে আঁকছে মানে আবার কীরে? আমি আঁকছি!
জ্যোতিঃ ও তা মামা তোমাকে আঁকছে কে?
মামাঃ মানে? আমাকে আঁকছে কে এটা কেমন বেকুবের মত প্রশ্ন? আমি কি ছবি নাকি যে আমাকে কেউ আঁকবে?
জ্যোতিঃexactly মামা! স্রষ্টা আর সৃষ্টির প্রকৃতি কখনো এক হয় না। তাই আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এই প্রশ্ন অবান্তর। এই প্রশ্ন আমাদের মনে ঢুকায় শয়তান। যেভাবে বাসা ভর্তি মানুষের ছবি এঁকে টাঙ্গায় রাখসো, তাতে তোমার বাসায় রহমতের ফেরেশতাতো ঢোকে না, ঢোকে শয়তান, বুঝলা?
মামাকে হতভম্ব করে দিয়ে ওখান থেকে উঠে গেল জ্যোতি। আর মনে মনে ভাবল বাসায় গিয়ে দু রাকআত শোকরানা নামায পড়তে হবে IOU তে পড়ার সুযোগ পাবার জন্য। এক বছর আগেও এ বাসার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে মন চাইত না ওর এসব উত্যক্তমূলক কথার ঠেলায়। এখন আর কোনো ফ্যামিলি প্রোগ্রামই মিস করে না ও। কি করছে, কেন করছে, খুব ভালো আইডিয়া আছে ওর!
No comments:
Post a Comment