শীলা: আপু, তোমাকে একটা কথা জিগ্যেস করি?
নীরা: অবশ্যই! এত ভূমিকা করছিস কেনো হঠাৎ?
শীলা: আগে বলো রাগ করবা না! ইয়ে মানে প্রশ্নটা একটু ভয়ংকর টাইপ। ছোটবেলায় আম্মুকে বলছিলাম, আম্মু ঠাস করে চড় লাগায় দিসিল আর তওবা করতে বলছিল!কিন্তু আমার মাথা থেকে না প্রশ্নটা যায় নাই!
কথাটার মাঝে এমন একটা সরলতা ছিল যে শুনে ফিক করে হেসে দিল নীরা।
নীরা: আচ্ছা বাবা শুনে চড় লাগাব না, রাগও করব না।
কথাটা শুনে একটু আশ্বস্ত হয়ে শীলা বলল ইয়ে মানে আপু তুমি বলার পর থেকে আমি আবার কুরআন অর্থসহ পড়া শুরু করছি। কিন্তু যখনই জাহান্নামের বর্ণনা পড়ি, আমার কাছে শাস্তিগুলা না কেমন যেন অবাস্তব লাগে, ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না! এমন কি আসলেই হবে আপু?
কথাটা শুনে একটু থম ধরে থাকল নীরা। IOU তে ভর্তি হবার আগে ঠিক এইরকমভাবেই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে যে ও নিজেও ভুগতো, তা আর বছর আটেকের ছোট এই কাজিনটাকে খুলে বলল না ও। IOU তে Dawah কোর্সে পড়া টিপসটাই ব্যবহার করল.........
নীরা: এই যে এখানে পানির বোতলটা দেখতেসিস, এখান থেকে এক ফোঁটা পানি দিয়ে যদি আমি আস্ত একটা মানুষ বানায় ফেলি তাইলে কেমন হবে ব্যাপারটা?কিংবা যদি এখন এই ছাঁদ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে?
শীলা: এক ফোঁটা পানি থেকে মানুষ হবে কেমনে? আর মাত্র নতুন বানানো এই বাড়িটার ছাদে তো কোনো ফাটল নাই, সেখান থেকে পানিই বা পড়বে কেমনে আপু? কীসব অবিশ্বাস্য কথাই যে বলো!
নীরা: আপুরে, অথচ চিন্তা করে দ্যাখ যে এমন অবিশ্বাস্য ব্যাপারই তো হরহামেশা ঘটছে, তাই না? আকাশ থেকে রেগুলার পানি পড়ছে, কোনো ফুটা নাই তবু, আকাশটা দাঁড়িয়ে আছে খুঁটি ছাড়াই, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করছেন এক ফোঁটা বীর্য থেকে...... তাই না?
শীলা: এভাবে তো কখনো ভেবে দেখি নাই!
নীরা: হ্যাঁ রে! এইজন্যই আল্লাহ পুরা কুরআন জুড়ে আল্লাহর এসব সৃষ্টি নৈপুণ্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এগুলা নিয়ে যদি চিন্তা করি আমরা, আল্লাহর ক্ষমতার ব্যাপারে সম্যক ধারণা পাব, আর তাহলেই জান্নাত/ জাহান্নাম কোনোটার বর্ণনাই আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগবে না বুঝলি?
শীলা: উফ আপু! তুমি এত্ত সুন্দর করে সব কিছু বুঝাও কিভাবে! সত্যিই তো, আমাদের চারপাশে কত অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটছে!এখন থেকে আমার মাঝে আর কখনো সংশয় আসবে না ইনশাল্লাহ!
নীরা: ইনশাল্লাহ!
নীরা: অবশ্যই! এত ভূমিকা করছিস কেনো হঠাৎ?
শীলা: আগে বলো রাগ করবা না! ইয়ে মানে প্রশ্নটা একটু ভয়ংকর টাইপ। ছোটবেলায় আম্মুকে বলছিলাম, আম্মু ঠাস করে চড় লাগায় দিসিল আর তওবা করতে বলছিল!কিন্তু আমার মাথা থেকে না প্রশ্নটা যায় নাই!
কথাটার মাঝে এমন একটা সরলতা ছিল যে শুনে ফিক করে হেসে দিল নীরা।
নীরা: আচ্ছা বাবা শুনে চড় লাগাব না, রাগও করব না।
কথাটা শুনে একটু আশ্বস্ত হয়ে শীলা বলল ইয়ে মানে আপু তুমি বলার পর থেকে আমি আবার কুরআন অর্থসহ পড়া শুরু করছি। কিন্তু যখনই জাহান্নামের বর্ণনা পড়ি, আমার কাছে শাস্তিগুলা না কেমন যেন অবাস্তব লাগে, ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না! এমন কি আসলেই হবে আপু?
কথাটা শুনে একটু থম ধরে থাকল নীরা। IOU তে ভর্তি হবার আগে ঠিক এইরকমভাবেই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে যে ও নিজেও ভুগতো, তা আর বছর আটেকের ছোট এই কাজিনটাকে খুলে বলল না ও। IOU তে Dawah কোর্সে পড়া টিপসটাই ব্যবহার করল.........
নীরা: এই যে এখানে পানির বোতলটা দেখতেসিস, এখান থেকে এক ফোঁটা পানি দিয়ে যদি আমি আস্ত একটা মানুষ বানায় ফেলি তাইলে কেমন হবে ব্যাপারটা?কিংবা যদি এখন এই ছাঁদ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে?
শীলা: এক ফোঁটা পানি থেকে মানুষ হবে কেমনে? আর মাত্র নতুন বানানো এই বাড়িটার ছাদে তো কোনো ফাটল নাই, সেখান থেকে পানিই বা পড়বে কেমনে আপু? কীসব অবিশ্বাস্য কথাই যে বলো!
নীরা: আপুরে, অথচ চিন্তা করে দ্যাখ যে এমন অবিশ্বাস্য ব্যাপারই তো হরহামেশা ঘটছে, তাই না? আকাশ থেকে রেগুলার পানি পড়ছে, কোনো ফুটা নাই তবু, আকাশটা দাঁড়িয়ে আছে খুঁটি ছাড়াই, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করছেন এক ফোঁটা বীর্য থেকে...... তাই না?
শীলা: এভাবে তো কখনো ভেবে দেখি নাই!
নীরা: হ্যাঁ রে! এইজন্যই আল্লাহ পুরা কুরআন জুড়ে আল্লাহর এসব সৃষ্টি নৈপুণ্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এগুলা নিয়ে যদি চিন্তা করি আমরা, আল্লাহর ক্ষমতার ব্যাপারে সম্যক ধারণা পাব, আর তাহলেই জান্নাত/ জাহান্নাম কোনোটার বর্ণনাই আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগবে না বুঝলি?
শীলা: উফ আপু! তুমি এত্ত সুন্দর করে সব কিছু বুঝাও কিভাবে! সত্যিই তো, আমাদের চারপাশে কত অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটছে!এখন থেকে আমার মাঝে আর কখনো সংশয় আসবে না ইনশাল্লাহ!
নীরা: ইনশাল্লাহ!
No comments:
Post a Comment