২য় পর্বে আমরা
দেখিয়েছি যে শুধুমাত্র চক্রবৃদ্ধি হারে হলেই সুদ নিষিদ্ধ হবে ব্যাপারটা এমন নয়। সুদের
হার যাই হোক না কেন তা কুরআনে কঠোরভাবে না করা হয়েছে। তাহলে আমাদের মনে হতে পারে
যে তারপরেও মুসলিম দেশগুলোতে এটা মহামারীর মত ছড়িয়ে গেল কিভাবে?
এটা বোঝার জন্য আমাদের
একটু পিছনে ফিরে তাকাতে হবে, প্রায় ১০০ বছর আগে।
আমরা হয়তো জানি যে প্রথম
বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং মুসলিম ভূমিগুলো পশ্চিমাদের দখলে
চলে যায়। এসময় পরিবর্তন আসে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষা, অর্থ ব্যবস্থা ইত্যাদি সব কিছুতে। মুসলিম বিশ্বে
সুদের অনুপ্রবেশ ঘটে ব্যাংকের মাধ্যমে যার মূল কার্যক্রমই ছিলো সুদভিত্তিক লেনদেন। একদম
শুরুর দিকের ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো মিশর, তুরষ্ক আর ভারতীয় উপমহাদেশে।
প্রাথমিকভাবে মুসলিমগণ
সুদের সাথে লেনদেন এড়িয়েই চলতেন। কিন্তু সমস্যা বাঁধে যখন কিছু স্কলার, যাদের নেতৃত্বে
ছিলেন মিশরের রশিদ রিদা, ফতওয়া প্রদান করেন যে ব্যাংকের সাথে লেনদেনে সমস্যা নেই, এটা
নিষিদ্ধ রিবার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের যুক্তি ছিলো যে কুরআন শুধু চক্র বৃদ্ধি হারে
সুদকেই নিষিদ্ধ করে। তাদের অভিমতের উপর ভিত্তি করে মিশরে আইন পাশ করা হয় যাতে শুধু
চক্র বৃদ্ধি হারে সুদকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এটা যে ঠিক নয় সেটা আমরা ২য়
পর্বেই ব্যাখ্যা করেছি। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাংকের সাথে লেনদেনকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা
করেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একদল সমাজ সংস্কারক যাদের নেতৃত্বে ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান, ফজলুর রাহমান প্রমুখ। তারা মূলত ভাবছিলেন
যে অর্থনীতি ব্যাংকভিত্তিক হয়ে গেছে, মুসলিমরা যদি
নিজেদেরকে এভাবে গুটিয়ে নিতে থাকে তাহলে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু অমুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে
চলে যাবে। মুসলিমরা আরো পিছিয়ে পড়বে। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে ঊনাদের উদ্দেশ্য
মহৎ ছিলো তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে যা আল্লাহ দ্ব্যর্থহীণ ভাষায় নিষেধ করেছেন,
তার মাঝে কোনো কল্যাণ থাকতে পারে না।
তবে হ্যাঁ, অধিকাংশ মূল ধারার স্কলাররাই ব্যাংকের
সাথে লেনদেনকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী পক্ষ দ্বারা যখন
কোনো মত প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন সাধারণ মানুষের জন্য সেটার বিপরীতে যাওয়া একটু কঠিন
হয়ে যায়। এভাবেই ব্যাংক ভিত্তিক সূদী লেনদেন একটু একটু করে আমাদের জীবনে আসন গেঁড়ে
নিতে থাকে। তারপর সময়ের সাথে সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ যত কমতে থাকে, এটার ব্যাপারে সংবেদনশীলতাও
তত কমতে থাকে যেটার ফল আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আজ দেখতে পাচ্ছি।
আর হ্যাঁ, আজকের সময়ে আলিমরা
সবাই একমত যে সুদী ব্যাংকের সাথে
লেনদেন বৈধ নয়। তাই ইতিহাসে কোনো কোনো স্কলার এটাকে অনুমোদন দিয়েছেন এটা আমাদের
জন্য আজ আর কোনো অজুহাত না।
২য় পর্বে আমরা
দেখিয়েছি যে শুধুমাত্র চক্রবৃদ্ধি হারে হলেই সুদ নিষিদ্ধ হবে ব্যাপারটা এমন নয়। সুদের
হার যাই হোক না কেন তা কুরআনে কঠোরভাবে না করা হয়েছে। তাহলে আমাদের মনে হতে পারে
যে তারপরেও মুসলিম দেশগুলোতে এটা মহামারীর মত ছড়িয়ে গেল কিভাবে?
এটা বোঝার জন্য আমাদের
একটু পিছনে ফিরে তাকাতে হবে, প্রায় ১০০ বছর আগে।
আমরা হয়তো জানি যে প্রথম
বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং মুসলিম ভূমিগুলো পশ্চিমাদের দখলে
চলে যায়। এসময় পরিবর্তন আসে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষা, অর্থ ব্যবস্থা ইত্যাদি সব কিছুতে। মুসলিম বিশ্বে
সুদের অনুপ্রবেশ ঘটে ব্যাংকের মাধ্যমে যার মূল কার্যক্রমই ছিলো সুদভিত্তিক লেনদেন। একদম
শুরুর দিকের ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো মিশর, তুরষ্ক আর ভারতীয় উপমহাদেশে।
প্রাথমিকভাবে মুসলিমগণ
সুদের সাথে লেনদেন এড়িয়েই চলতেন। কিন্তু সমস্যা বাঁধে যখন কিছু স্কলার, যাদের নেতৃত্বে
ছিলেন মিশরের রশিদ রিদা, ফতওয়া প্রদান করেন যে ব্যাংকের সাথে লেনদেনে সমস্যা নেই, এটা
নিষিদ্ধ রিবার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের যুক্তি ছিলো যে কুরআন শুধু চক্র বৃদ্ধি হারে
সুদকেই নিষিদ্ধ করে। তাদের অভিমতের উপর ভিত্তি করে মিশরে আইন পাশ করা হয় যাতে শুধু
চক্র বৃদ্ধি হারে সুদকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এটা যে ঠিক নয় সেটা আমরা ২য়
পর্বেই ব্যাখ্যা করেছি। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাংকের সাথে লেনদেনকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা
করেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একদল সমাজ সংস্কারক যাদের নেতৃত্বে ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান, ফজলুর রাহমান প্রমুখ। তারা মূলত ভাবছিলেন
যে অর্থনীতি ব্যাংকভিত্তিক হয়ে গেছে, মুসলিমরা যদি
নিজেদেরকে এভাবে গুটিয়ে নিতে থাকে তাহলে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু অমুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে
চলে যাবে। মুসলিমরা আরো পিছিয়ে পড়বে। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে ঊনাদের উদ্দেশ্য
মহৎ ছিলো তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে যা আল্লাহ দ্ব্যর্থহীণ ভাষায় নিষেধ করেছেন,
তার মাঝে কোনো কল্যাণ থাকতে পারে না।
তবে হ্যাঁ, অধিকাংশ মূল ধারার স্কলাররাই ব্যাংকের
সাথে লেনদেনকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী পক্ষ দ্বারা যখন
কোনো মত প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন সাধারণ মানুষের জন্য সেটার বিপরীতে যাওয়া একটু কঠিন
হয়ে যায়। এভাবেই ব্যাংক ভিত্তিক সূদী লেনদেন একটু একটু করে আমাদের জীবনে আসন গেঁড়ে
নিতে থাকে। তারপর সময়ের সাথে সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ যত কমতে থাকে, এটার ব্যাপারে সংবেদনশীলতাও
তত কমতে থাকে যেটার ফল আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আজ দেখতে পাচ্ছি।
আর হ্যাঁ, আজকের সময়ে আলিমরা
সবাই একমত যে সুদী ব্যাংকের সাথে
লেনদেন বৈধ নয়। তাই ইতিহাসে কোনো কোনো স্কলার এটাকে অনুমোদন দিয়েছেন এটা আমাদের
জন্য আজ আর কোনো অজুহাত না।
No comments:
Post a Comment