ফারাহঃ
ভাবী এটা কি আপনাদের নিজের বাসা?
শর্মীঃ না ভাবী। ভাড়া।এত তাড়াতাড়ি নিজের ফ্ল্যাট কিভাবে হবে!
ফারাহঃ না আমাদের এইটা নিজেদের তো, তাই জিগ্যেস করলাম। আপনার ভাই এই ফ্ল্যাটটা আমার নামে করসে। ইন ফ্যাক্ট আমাদের যা যা সম্পত্তি সবই ও আমার নামে করে। আমাদের দুই মেয়ে তো, তাই কোনো রিস্ক নিতে চায় না। আমার ভাসুরের সাথে আমাদের বনিবনা হয় না। এত কষ্টে করা সম্পত্তি সব কথা নাই বার্তা নাই ঊনার ছেলেরা পাবে এটাতো আর হতে দেয়া যায় না তাই না?
শর্মীঃ মানে? ঠিক বুঝলাম না ভাবী। সব সম্পত্তি আপনার ভাসুরের ছেলেরা পাবে কেন?
ফারাহঃ ওমা! আপনি জানেন না? মেয়েরা তো বাপের সম্পত্তি পায় না, সব ভাইয়ের ছেলেরা নিয়ে যায়!
শর্মীঃ বাপেরটা পায় না, মায়েরটা পায়? আপনার নামে করলে কি ফায়দা?
ফারাহঃ এত কিছু বুঝিনা বাপু! মেয়েদের বাবা যা ভালো বুঝতেসে, করতেসে।
[একটা দীর্ঘশ্বাস অনেক কষ্টে গোপন করল শর্মী। এই ফারাহ ভাবী ঊনার নতুন প্রতিবেশী। নিয়মিত পাঁচবেলা নামায পড়েন, সুন্দর করে পর্দাও করেন। শর্মী অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে জানতে পেরে প্রায়ই এটা ওটা জানতেও চান ওর কাছে। এমন তাকওয়া সম্পন্ন মহিলাও কি ভয়াবহ ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন- চিন্তা করে মনটা এমন খারাপ হল ওর!] একটু চুপ থেকে বলল---
শর্মীঃ না ভাবী। ভাড়া।এত তাড়াতাড়ি নিজের ফ্ল্যাট কিভাবে হবে!
ফারাহঃ না আমাদের এইটা নিজেদের তো, তাই জিগ্যেস করলাম। আপনার ভাই এই ফ্ল্যাটটা আমার নামে করসে। ইন ফ্যাক্ট আমাদের যা যা সম্পত্তি সবই ও আমার নামে করে। আমাদের দুই মেয়ে তো, তাই কোনো রিস্ক নিতে চায় না। আমার ভাসুরের সাথে আমাদের বনিবনা হয় না। এত কষ্টে করা সম্পত্তি সব কথা নাই বার্তা নাই ঊনার ছেলেরা পাবে এটাতো আর হতে দেয়া যায় না তাই না?
শর্মীঃ মানে? ঠিক বুঝলাম না ভাবী। সব সম্পত্তি আপনার ভাসুরের ছেলেরা পাবে কেন?
ফারাহঃ ওমা! আপনি জানেন না? মেয়েরা তো বাপের সম্পত্তি পায় না, সব ভাইয়ের ছেলেরা নিয়ে যায়!
শর্মীঃ বাপেরটা পায় না, মায়েরটা পায়? আপনার নামে করলে কি ফায়দা?
ফারাহঃ এত কিছু বুঝিনা বাপু! মেয়েদের বাবা যা ভালো বুঝতেসে, করতেসে।
[একটা দীর্ঘশ্বাস অনেক কষ্টে গোপন করল শর্মী। এই ফারাহ ভাবী ঊনার নতুন প্রতিবেশী। নিয়মিত পাঁচবেলা নামায পড়েন, সুন্দর করে পর্দাও করেন। শর্মী অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে জানতে পেরে প্রায়ই এটা ওটা জানতেও চান ওর কাছে। এমন তাকওয়া সম্পন্ন মহিলাও কি ভয়াবহ ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন- চিন্তা করে মনটা এমন খারাপ হল ওর!] একটু চুপ থেকে বলল---
ভাবী, একটা কথা বলি, কিছু মনে কইরেন না।আল্লাহ্র দ্বীনের ব্যাপারে আমাদেরকেতো জানতেই হবে তাই না?ওর আব্বা যা বুঝে......এভাবে এড়িয়ে গেলে কি হবে বলেন? আপনার দুই মেয়ে তাদের বাবার সম্পদের ৩ ভাগের ২ ভাগই পাবে। আপনি পাবেন ১/৮ অংশ। আর বাকিটা একেক পরিস্থিতিতে একেক জন পেতে পারে। ভাইয়ের ছেলেরাই পাবে এমন কোনো hard and fast rule নাই। আমরা উত্তরাধিকার আইনের বিস্তারিত পড়েছি। খুব সোজা ভাবী, বিশ্বাস করেন! কয়েকটা মূলনীতি মনে রাখলেই হয়, আর কিচ্ছু না। এভাবে কি আল্লাহকে ফাঁকি দেয়া যায় বলেন?
No comments:
Post a Comment