এই ভিডিওটার লিংক (রিবা নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ১)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে বের হয় এবং তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ও কাপড় ধুলোবালিতে ময়লা হয়ে আছে। অতঃপর সে নিজের দুই হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে ও বলেঃ হে রব! হে রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোষাক হারাম, সে হারামভাবে লালিত-পালিত হয়েছে; এ অবস্থায় কেমন করে তার দো‘আ কবূল হতে পারে। [মুসলিমঃ ১০১৫]
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে বের হয় এবং তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ও কাপড় ধুলোবালিতে ময়লা হয়ে আছে। অতঃপর সে নিজের দুই হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে ও বলেঃ হে রব! হে রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোষাক হারাম, সে হারামভাবে লালিত-পালিত হয়েছে; এ অবস্থায় কেমন করে তার দো‘আ কবূল হতে পারে। [মুসলিমঃ ১০১৫]
এই হাদীসে এমন একটি বিষয়
উল্লেখ করা হয়েছে যা বর্তমান যুগে সব মুসলিমকেই চিন্তিত করে তোলে।
সুদ বা রিবা এমন একটা
ব্যাপার যা আমাদের কষ্টার্জিত অর্থকে নিমেষেই হারাম করে ফেলতে পারে। এটার ব্যাপারে
না জানার কারণে আমরা হয়তো বুঝতেও পারছি না যে আমরা হারাম খাচ্ছি, হারাম পরছি,
হারাম দিয়ে আমাদের সন্তানকে লালন পালন করছি।
সুদ বা রিবা নিয়ে আমাদের
মাঝে অনেক ধরণের সংশয় বা প্রশ্ন আছে। আজকের সময়ে সুদ এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে আমাদের
কারো পক্ষেই দাবী করা প্রায় অসম্ভব যে আমরা সুদের রাহুগ্রাস থেকে নিজেদের পুরোপুরি
রক্ষা করে চলতে পেরেছি। কোনটা সুদ আর কোনটা সুদ না সেটা চিহ্নিত করাও কষ্টকর হয়ে
যায় সাধারণ মানুষের জন্য। ইসলামী ফিন্যান্সের অনেক বিষয়ও প্রচলিত সিস্টেমের থেকে খুব
একটা আলাদা মনে হয় না। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এই সিরিজের সূচনা করছি যাতে আমরা
সাধারণ মানুষেরা জেনে বুঝে আমাদের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারি।
রিবার ব্যাপারে আল্লাহ
আমাদেরকে কুরআনে কঠোর ভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন। কুরআনে আছে-
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া
আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর,
তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। (২:২৭৮-৭৯)
অধিকাংশ
স্কলারদের মতে এমন কঠিনতম অভিব্যক্তি কুরআনে আর কোথাও আর কোনো গুনাহের ব্যাপারে
বলা হয়নি।
তাহলে
প্রশ্ন হচ্ছে আমরা মুসলিমরা শুকরের মাংস না খাওয়ার ব্যাপারে, মদ্যপান না করার
ব্যাপারে যতটা সচেতন,এই ব্যাপারে ঠিক ততটাই বেখেয়াল কেন??
আমরা একটু চিন্তা করলে
দেখবো যে রিবার ব্যাপারে আসলে আমাদের মাঝে বেশ কিছু বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা বিদ্যমান।
যেমনঃ
ভুল ধারণা :১
ব্যাংকের সুদ
রিবা নয়, কারণ তা চক্রবৃদ্ধি হারে নয়।
ভুল ধারণা :২
মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)র কারণে টাকার মান ক্রমাগত কমে যেতে থাকে। তাই যে টাকা ধার নেয়া হয়েছে সেটার
ক্রয়ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য সুদ দেয়া বৈধ
ভুল ধারণা :৩
রিবার নিষেধাজ্ঞা বাণিজ্যিক ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়
ভুল ধারণা :৪
একান্ত বাধ্যগত হলে রিবার সাথে যুক্ত হতে সমস্যা নেই।
ভুল ধারণা :৫
তৎকালীন সময়ে রিবা ছিলো তীব্র শোষণের হাতিয়ার। একারণেই রিবা
নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন শক্তিশালী পক্ষও (যেমন সরকার) দুর্বলের (জনগণ) কাছ
থেকে ঋণ নেয়। প্রেক্ষিত বদলে যাওয়াতে রিবার নিষেধাজ্ঞা আজকের সময়ে প্রযোজ্য নয়।
No comments:
Post a Comment