আল্লাহ কেন
কুরআনকে আরবী ভাষায় পাঠাতে গেলেন? এত কঠিন!
তার উপর উচ্চারণের কত নিয়ম কানুন!
কিছুদিন হল
বাসায় একজন তাজউইড এর শিক্ষিকা রেখে সহীহভাবে কুরআনের উচ্চারণটা শিখছে নিপা। ও পড়ছে, এমন সময়ে কয়েকদিন ওর বাসায় এসেছে শৈলী, তাতেই ওর মনে এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
কথা শুনে
স্মিত হাসি দিল নিপা।কিছু বললো না।
কিন্তু শৈলী
তো আর ছেড়ে কথা বলার পাত্রী না, তাই আবারো
বললো, ‘তোর কাছে এই ব্যাপারটা বিরক্তিকর লাগে না? কঠিন লাগে না?
নিজের অজান্তেই
শৈলীর পড়ার টেবিলের দিকে চোখ চলে গেল নিপার। টেবিল ভর্তি IELTS আর GRE র বই দিয়ে ভরা।
আচ্ছা এই
যে তুই গত ছয় মাস ধরে GRE আর IELTS
এর জন্য পড়ছিস, তোর এই ব্যাপারটা বিরক্ত
লাগে না?কঠিন লাগে না?
লাগে না আবার!
জানটা কয়লা হয়ে গেল রে! কিন্তু কোনো উপায়ও যে নেই! IELTS ছাড়া বাইরে পড়তে যাওয়ার তো কোনো সুযোগই নেই!
হুম।
দ্যাখ, ‘বাইরে পড়তে যাওয়াটা’ তোর কাছে যথেষ্ট ভালো একটা incentive
মনে হচ্ছে এতদিন ধরে এগুলা পড়ার জন্য, তাই
না?
কুরআন সহীহ
উচ্চারণে তিলাওয়াত করার এবং আরবী জানার উপকারিতা তুই যদি জানতি বা বলা যায় বিশ্বাস
করতি, তাহলে জান প্রাণ দিয়ে খেটে এগুলা শিখতে
চাইতি। আমরা আখিরাতের উপরে দুনিয়ার সাফল্যকে এখন অগ্রাধিকার দেই বলে এগুলোর পিছনে সময়,
শ্রম ব্যয় করতে চাই না।
কথাটা শুনে
একটু ম্রিয়মান হয়ে গেল শৈলী। কথাটা তুই খুব একটা ভুল বলিসনি বোধ হয়......
*******************************************
আমরা সবাই
দাবী করি যে আমরা পরকালে বিশ্বাস করি। আমাদের জীবনের ‘প্রায়োরিটি’ ঠিক করার সময়
সেটা কি প্রকাশ পায়?
No comments:
Post a Comment